https://theenddaybn.blogspot.com/2019/04/blog-post_23.html?m=1

Wednesday, 17 July 2019

দাজ্জাল মক্কা ও মদিনায় প্রবেশ করবে না

হযরত আবু বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দাজ্জালের প্রভাব মদিনায় প্রবেশ করবে না। সে সময় মদিনায় সাতটি ফটক থাকবে। প্রতিটি ফটকে দুজন করে ফেরেশতা নিয়োজিত থাকবে”। (সহিহ বুখারি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৫৫)
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এমন কোন নগরী নেই যেখানে দাজ্জাল প্রবেশ করবে না – দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা ব্যতীত। মদিনার প্রতিটি প্রবেশ দ্বারে সেদিন দুজন করে ফেরেশতা থাকবে, যারা তার থেকে দাজ্জালের প্রভাবকে প্রতিহত করবে”। (মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৮৪)
হযরত মিহজান ইবনে আদরা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি তিনবার বলেছেন,“ইয়াওমুল খালাসি ওয়ামা ইয়াওমুল খালাসি”।
এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, “হে আল্লাহর রাসুল, ‘ইয়াওমুল খালাস’ কি জিনিস? ”
উত্তরে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দাজ্জাল আসবে এবং ওহুদ পাহাড়ের উপর আরোহণ করবে। তারপর তার সাথীদের বলবে, তোমরা কি ঐ সাদা ভবনটি দেখতে পাচ্ছ? এটি আহমদ-এর মসজিদ। তারপর সে মদিনার দিকে এগিয়ে আসবে। সে তার প্রতিটি পথে খাপখোলা তরবারি হাতে একজন ফেরেশতাকে দণ্ডায়মান দেখতে পাবে। সে জুরফ আল সাখার দিকে যাবে এবং নিজ তাঁবুর গাঁয়ে আঘাত হানবে। তারপর মদিনা তিনটি কম্পনে প্রকম্পিত হবে, যার ফলে প্রত্যেক মুনাফিক পুরুষ ও নারী, ফাসেক পুরুষ ও নারী মদিনা থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। এটিই হল ‘ইয়াওমুল খালাস’ বা ‘মুক্তির দিন’”। (মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৮৬)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন সাহাবাদের লক্ষ্য করে তিনবার বললেন,“মুক্তিপ্রাপ্তির দিন। তোমরা কি জান মুক্তিপ্রাপ্তির দিন কোনটি ?” তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল,“ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুক্তিপ্রাপ্তির দিন কোনটি?”রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,“দাজ্জাল জাবাল হাবশির উপড়ে উঠে মদিনার দিকে তাকাবে এবং তার সাথীদের বলবে,‘তোমরা কি ঐ সাদা প্রাসাদটি দেখছ ? ওটা হল আহমদের মসজিদ (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আরেকটি নাম আহমাদ)।’এরপর দাজ্জাল মদিনাতে পৌঁছে প্রত্যেক পথে খোলা তরবারি হাতে একজন ফেরেশতা দেখতে পাবে। এরপর সে আল জুরফের (জুরফ আল সাখার) পতিত ভূমিতে চলে গিয়ে তাবু গড়বে। মদিনা তখন ৩ বার প্রকম্পিত হবে এবং কোন মুনাফিক নর-নারী, অসৎ নর-নারী বের হয়ে তার সাথে যোগ দিতে ব্যর্থ হবে না। এটিই হল সেই মুক্তিপ্রাপ্তির দিন।”(দুর্বল হাদিস)
জাবাল হাবশি : বামে – সাইড ভিউ,ডানে – স্যাটেলাইট ভিউ


জাবাল হাবশি থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মসজিদে নববি
এখানে একটা ব্যাপার লক্ষ্য রাখতে হবে যে, সৌদি আরবে জাবাল হাবশি নামে আরও কিছু পাহাড় আছে, তবে বিশেষভাবে এই জাবাল হাবশির উল্লেখ করার কারন স্থানীয় লোকেরা একে “দাজ্জাল প্যালেস” হিসেবে ডেকে থাকে, যেখানে বর্তমানে একটি রাজকীয় প্রাসাদ রয়েছে।
দাজ্জাল মসজিদে নববীকে ‘সাদা ভবন’ আখ্যা দিবে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সময় একথাটি বলেছিলেন, তখন মসজিদে নববী সম্পূর্ণ সাদা মাটির তৈরি ছিল। আর এখন যদি মসজিদে নববীকে দূর থেকে কিংবা কোন উঁচু জায়গা থেকে দেখা হয়, তাহলে অন্যান্য ইমারতের মাঝে তাকে পুরোপুরি একটি সাদা ভবনের মতোই মনে হয়। স্যাটেলাইটের সাহায্যে মসজিদে নববীর একটি চিত্র ধারণ করা হয়েছিল। তাতে মসজিদকে সাদা-ই দেখা যাচ্ছে।
মসজিদে নববীর স্যাটেলাইট ভিউ যাতে মসজিদে নববীকে সাদা দেখা যাচ্ছে। আরও একটি ব্যাপার, গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট অপশনের মাধ্যমে ক্যাপচার করা এই ছবির বামে উপরের কোনা খেয়াল করলে দেখতে পাবেন সেই “All Seeing Eye”
অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, দাজ্জালের সময় মদিনায় সাতটি ফটক থাকবে। তো সাত ফটক দ্বারা উদ্দেশ্য মদিনায় প্রবেশের সাতটি পথও হতে পারে। বর্তমানে মদিনা প্রবেশের সাতটি বড় রাস্তা বিদ্যমান রয়েছেঃ
১। জেদ্দা থেকে আসা পথ।
২। মক্কা থেকে আসা পথ।
৩। রাবিগ থেকে আসা পথ।
৪। বিমানবন্দর থেকে আসা পথ।
৫। তাবুক থেকে আসা পথ।
এছাড়া আরও দুটি রাস্তা আছে, মফস্বল অঞ্চল থেকে মদিনায় প্রবেশ করা যায়।
মুমিনদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়।

No comments:

Post a Comment