বোহেমিয়ান ক্লাবঃ শয়তানের পূজারীদের গোপন সংস্থাবোহেইমিয়ান ক্লাব এমন একটি গোপন সংস্থা, যারা ব্যাপারে খুব কমই খবর প্রকাশ হয়। আর মিডিয়া কখনই প্রকৃত সত্য প্রকাশ করতে চায় না যদিও অনেক সময়ই অনেক অনুসন্ধিৎসু মানুষের কারনে তা ফাঁস হয়ে যায়। আমেরিকার উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত প্রাচীন রেডউড ফরেস্টের ২৭০০ একর জুড়ে রয়েছে বোহেইমিয়ান গ্রোভ নামের একটি এলাকা, যা প্রকৃতপক্ষে বোহেইমিয়ানদের (বোহেইমিয়ান ক্লাবের সদস্য) দখলে রয়েছে। কিন্তু এই বোহেইমিয়ানরা কারা ?
সদস্যদের সম্পর্কে জানার আগে চলুন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট Richar Nixon এর মুখ থেকে এটি সম্পর্কে বিশেষ একটি উক্তি জেনে নেই –
“Anybody can be President of the United States, but very few can ever have any hope of becoming President of the Bohemian Club.”
১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটি মূলত পুরো বিশ্বের বাছাইকৃত বিশেষ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত যারা মূলত উচ্চ পর্যায়ের পলিটিক্যাল ও বিজনেস ব্যক্তি ও ইল্যুমিনাটি পরিবারের লোক। বিভিন্ন প্রভাবশালীর সংমিশ্রণে গঠিত এই All male club (কোন নারীকে এই পর্যন্ত সদস্য করা হয়নি) এ রয়েছে হলিউড তারকা, ব্রডওয়ে প্রোডিউসার, বিখ্যাত এন্টারটেইনার, সুরকার ও গায়ক, পেইন্টার, কবি এমন আরও অনেকে যাদেরকে পুরো বিশ্ব “জেন্টেলম্যান” হিসেবে চিনে।
এদের মধ্যে কয়েকজন হল George H. W. Bush (41st US President), George W. Bush (43rd US President), Ronald Reagan (40th US President), Henry Kissinger (American diplomat and political scientist ), Tom Johnson (President of CNN), Malcolm Forbes (Publisher of Forbes magazine), Helmut Schmidt (Former Chancellor of Germany), James Baker (Former White House Chief of Staff), Walter Cronkite (CBS board of management ), Wally Schirra (Astronaut), Former FBI and CIA directors, International bankers; Heads of big oil companies (ARCO, Mobil, Pennzoil, Texaco), Mark Twain, Charlie Chaplin এবং এরকম আরও অনেক প্রভাবশালী ফিগার। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫০০।
কিন্তু প্রশ্ন হল, এত জায়গা থাকতে কেন তারা ঐ দুর্গম স্থানে মিটিং করে এই আধুনিক যুগে, তাও আবার এই এলিট মানুষেরা। তারা সেখানে আসলে করেই বা কি ?
সাধারনভাবে মিডিয়াতে যেভাবে তাদের কার্যক্রম প্রচার করা হয় (প্রকৃতপক্ষে এই কার্যক্রম প্রকাশের মাধ্যমে আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়) তা হল এই উচ্চ পর্যায়ের অভিজাত শ্রেণীর লোকেরা জাস্ট দুই সপ্তাহের জন্য সামার ভেকেশনে এসে একত্রে “আনন্দ” করে এবং নিজেদের রিফ্রেশ করতে চায়। এর বাইরে কি তারা কিছুই করে না ? আর করলেও আমরা শয়তানী মিডিয়া থেকে প্রকৃত সত্য আসা করতে পারি না কারন তা করাটা বোকামি।
তারা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে প্রাচীন এক প্যাঁচা আকৃতির পাথরের মূর্তির (৪৫ ফুট দীর্ঘ) সামনে উপাসনা করে। তবে এই প্যাঁচা আকৃতির মূর্তির নিজস্ব ইতিহাস ও অর্থ আছে, যাকে তারা গড বলে মেনে থাকে। তারা এই মূর্তির সামনের বেদীতে (যাকে তারা গড বলে মেনে থাকে) জীবন্ত মানুষ আগুনে পুড়িয়ে “উৎসর্গ” করে (একটু পরেই ভিডিও লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে)। তারা বিশেষ এক রীতিতে তাদের “ধর্মীয় অনুষ্ঠান” পালন করে যার মধ্যে রয়েছে নারীদের পোশাক পরে বিশেষভাবে প্যারেড করা এমনকি তাদের উপর “স্পিরিট” অবতীর্ণ হলে তারা নগ্নও হয়ে যায় ! শুধু তাই নয়, সেখানে বন্য সমকামীতা থেকে শুরু করে এমন অকথ্য অনেক কিছু হয় যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না যে কিছু মানুষ মানব চরিত্রের সীমা লঙ্ঘন করে (তাও আবার আধুনিক আমেরিকার এবং পুরো বিশ্বের জেন্টেলম্যান !!!) এই ধরনের কাজগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।
বোহেইমিয়ান গ্রোভে জীবন্ত মানুষ আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করা হচ্ছে
এসব কিছু কিভাবে এই বোহেইমিয়ানে প্রতি বছর ঘটে ? এই ২৭০০ একরের এলাকাটি মূলত বাহেইমিয়ানদের দখলে আর আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে তারা কোন সাধারন মানুষ না আর এটি কোন সাধারন সমাবেশও না। এটি গোপন সিকিউরিটি ফোর্স কতৃক এমনভাবে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকে যাতে অন্য কোন সাধারন মানুষ এতে প্রবেশ করতে না পারে।
বোহেইমিয়ান গ্রোভের একটি প্রবেশপথে সিক্রেট পুলিশ ফোর্সের পাহারা
বিখ্যাত কন্সপাইরেসি থিওরিস্ট এলেক্স জোন্সের গোপনে ধারণকৃত ডকুমেন্ট Dark Secrets Inside Bohemian Grove (এর শর্ট কাটিং এখান থেকে দেখতে পারবেন) এ এর চাক্ষুষ কিছু দৃশ্য আপনারা দেখতে পারবেন এবং দেখার পর ইন শা আল্লাহ্ অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন। এছাড়া আরও তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা Bohemian Grove: Cult of Conspiracy বইটি পড়ে দেখতে পারেন। বইটির লেখক মাইক হেনসন। তিনি এবং এলেক্স জোন্স উভয়ই একসাথে অনুপ্রবেশ করেছিলেন বোহেইমিয়ান গ্রোভে এবং পরবর্তীতে তারা আসল তথ্য ফাঁস করে দেন।
আমরা আবার সেই প্যাঁচার ব্যাপারে চলে যাই। এই প্যাঁচা আকৃতির মূর্তির সম্ভাব্য নাম অনেক পাওয়া গেলেও আধুনিক সভ্য জনপ্রিয় এলিটদের (!!??) এই কথিত “গড” কে পাওয়া যায় আমেরিকান ডলারে। ইতিমধ্যে আপনারা পূর্ববর্তী চ্যাপ্টারে আমেরিকান ডলারের একটি ছবি দেখেছেন, যেখানে ডলারের বিভিন্ন সাইন বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখন স্পেসিফিকভাবে আপনাদের ঐ ডলারের একটি সাইন জুম ইন করে অবস্থায় দেখানো হল :
খুব ছোট আকারে একটি প্যাঁচার ছবি দেখা যাচ্ছে। ডলারের উপর লেখা – “In God We Trust”, একটি প্যাঁচার ছবি সেই ডলারে এবং বোহেইমিয়ান গ্রোভেও সেই প্যাঁচা আকৃতির মূর্তির প্রতি আজব সনাতন শয়তানী উপাসনা – বুদ্ধিমান পাঠকরা নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন যে তারা কোন “গড” এর কথা বলতে চাচ্ছে।
স্যান ফ্র্যান্সিসকোতে অবস্থিত বোহাইমিয়ান ক্লাবে প্যাঁচার মূর্তি
আরও কিছু ছবি :
আমেরিকার আইনভবনের স্যাটেলাইট ভিউ
আমেরিকার আইনভবনের স্যাটেলাইট ভিউ ভালমত খেয়াল করে দেখুন, এখানে প্যাঁচার আকৃতি দেখা যাচ্ছে আর স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, এটা কোন কারন ছাড়া দুর্ঘটনাবশত করা হয় নি।
বামে – টেক্সাসের অস্টিনে অবস্থিত ফ্রস্ট ব্যাংক বিল্ডিং, ডানে – স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত রটুলস রউরা কোম্পানির বিল্ডিং
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
দাজ্জালের ফিতনা ও ঈমানের হেফাজত
অন্ধকার ফিতনার ভয়ানক প্রতিচ্ছবি দিন দিন মানবতাকে গ্রাস করে চলেছে। ঈমানওয়ালাদের জন্য এটি কঠিন পরীক্ষার মুহূর্ত। কুফরের পক্ষ থেকে এদিক বা ওদিক...
-
আর্টিকেল ইনডেক্স – দাজ্জালের আলোচনাঃ উম্মতের জন্য একটি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দাজ্জালঃ ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের দৃষ্টিভঙ্গি দাজ্জালের ফ...
-
কাফেররা মুসলমানদেরকে যে দৃষ্টিভঙ্গির দিকেই নিতে চায়, সারা বিশ্ব ওদিকেই দৌড়ে যেতে শুরু করে। সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ কোন প্রকার লাভ লোকসান ...
-
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন,“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,...
No comments:
Post a Comment